ইমন-আফিফের ব্যাটে ঢাকাকে হারিয়ে শীর্ষ চারে খুলনা

প্রতিনিধির ছবি

প্রতিনিধি: নিউজ ডেস্ক রিপোর্ট

এলাকা: ডেস্ক

স্পোর্টস ডেস্ক

আগে ব্যাট করে ভালো সংগ্রহ পায়নি হারের বৃত্তে আটকে থাকা দুর্দান্ত ঢাকা। কোনোমতে লড়াই করার পুঁজি পেলেও বোলারদের ব্যর্থতায় ডুবলো তারা।
অন্যদিকে পারভেজ হাসান ইমন ও আফিফ হোসেনের দুটি চল্লিশোর্ধ্ব ইনিংসে ভর করে সহজ জয়ে শেষ চারে যাওয়ার লড়িয়ে টিকে রইলো খুলনা টাইগার্স।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আজ ২০২৪ বিপিএলের ৩৩তম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ঢাকা ও খুলনা। আগে ব্যাট করে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৯ রানের লক্ষ্য দিতে পারে ঢাকা। জবাবে ৫ উইকেট ও ২৮ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় খুলনা।

লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুতেই ওপেনার আনামুল হক বিজয়ের উইকেট হারায় খুলনা। ঢাকার পেসার শরিফুল ইসলামের করা ইনিংসের প্রথম ওভারের প্রথম বলেই বোল্ড হয়ে ফেরেন খুলনার অধিনায়ক বিজয়। আরেক ওপেনার এভিন লুইসকেও (৪) ফেরান শরিফুল। তবে পরের তিন ব্যাটারই পান রানের দেখা।

ইমন ও শাই হোপ মিলে তৃতীয় উইকেট জুটিতে যোগ করেন ৪৯ রান। ইমন ৩০ বলে ২ চার ও ৪ ছক্কায় ৪০ রান করে লঙ্কান বোলার চতুরাঙ্গা ডি সিলভার শিকার হন। শাই হোপ দলকে ৯৯ রানে রেখে তাসকিন আহমেদের বলে চতুরাঙ্গার হাতে ক্যাচ তুলে দেন। তার ব্যাট থেকে আসে ২৮ বলে ৩২ রানের ইনিংস।

খুলনার সহজ জয়ে বড় ভূমিকা রাখেন আফিফ। মাত্র ২১ বলে অপরাজিত ৪৩ রানের ইনিংস খেলেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। ঝোড়ো ইনিংসটি ২টি চার ও ৪টি ছক্কায় সাজান তিনি। ১৫তম ওভারে তাকে রেখে মাহমুদুল হাসান জয় (২) দ্রুত ফিরলেও আফিফের ব্যাটে জয় পেতে সমস্যা হয়নি খুলনার।

ঢাকার হয়ে বল হাতে ২টি করে উইকেট পান শরিফুল ও তাসকিন।

এর আগে ঢাকার শুরুটা ভালো করতে পারেননি নাঈম শেখ। মাত্র ৫ রানে তিনি উইকেট হারান পারনেলের বলে। পরের বলেই বিদায় নেন সাইফ হাসান। আরেক ওপেনার অ্যাডাম রসিংটন কিছুক্ষণ লড়লেও ১৮ রানের বেশি করতে পারেননি। চারে নামা অ্যালেক্স রস কিছুক্ষণ থিতু হন। কিন্ত ২৫ করে রান আউট হন তিনি। একই রানে বিদায় নেন ইরফান শুক্কুরও।

শেষদিকে অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসাইনের ব্যাট থেকে কিছু রান আসে। ২৩ বলে তিনি করেন ২৬ রান। ১১ বলে ১৭ রান করে অপরাজিত থাকেন চতুরাঙ্গা ডি সিলভা।

খুলনা টাইগার্সের হয়ে দারুণ বোলিং করেন পারনেল। ৪ ওভারে ১৯ রান খরচায় তিনি নেন ৩ উইকেট। সমান উইকেট পান মুকিদুল ইসলামও। তিনি খরচ করেন ১৮ রান।

১০ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চারে উঠে এলো খুলনা। সমান পয়েন্ট ফরচুন বরিশাল ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সেরও। তবে এই দুই দল খুলনার চেয়ে একটি করে কম ম্যাচ খেলেছে। আর ১১ ম্যাচে ১০ম হারে ২ পয়েন্ট পাওয়া ঢাকা রইলো তলানিতেই। ৬ পয়েন্ট নিয়ে তাদের একধাপ উপরে সিলেট স্ট্রাইকার্স।

Please Share This Post in Your Social Media

আরো খবর দেখুন
প্রতিনিধির ছবি

প্রতিনিধি: নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

এলাকা: ডেস্ক

ডেমরা প্রেসক্লাব কর্তৃক আয়োজিত ইয়েস সমতট টাওয়ারের তৃতীয় তলায় ডেমরা প্রেস ক্লাবের সম্মেলন কক্ষে প্রায় ৩ শতাধিক দুস্তদের সম্মানে আসন্ন ঈদুল ফিতর উৎযাপন উপলক্ষে ঈদ উপহার খাদ্য সামগ্রী বিতরণ, আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন রাজধানীর ঐতিহ্যবাহি ও সুনামধন্য ডেমরা প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি প্রবীন সাংবাদিক নজরুল ইসলাম চৌধুরী। সভা সঞ্চালনা করেন ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ জার্নালিস্ট অর্গানাইজেশনের মহাসচিব ও দোয়েল টিভির বাংলাদেশ কান্ট্রি সিও মোঃ শামছুল আলম। সম্মানিত বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সফল সংগঠক অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী দৈনিক স্বদেশ বিচিত্রার প্রকাশক ও সম্পাদক অশোক ধর, মানবতাবাদী প্রবীন সাংবাদিক দৈনিক স্বাধীন সংবাদ পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আকাশ, ডেমরা থানা বি.এন.পি সমন্বয়ক কমিটির আহবায়ক ও সদস্য সচিব ডেমরা মাটি ও মানুষের প্রিয় নেতা সেলিম রেজা চৌধুরী (সেলিম) ও আনিসুজ্জামান( জামান)। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন দৈনিক ঐশ্বী বাংলা পত্রিকার সহকারী সম্পাদক সরওয়ার আরিফ, জাতীয়তাবাদী ছাত্র দলের সাবেক সভাপতি যুবদল নেতা আজিজুল হক আজিজ, ৬৬ নং ওয়ার্ড বি.এন.পি সভাপতি নূর হোসেন ভুঁইয়া। সম্পাদক অশোক ধর ও আনোয়ার হোসেন আকাশ তাদের বক্তব্যে সিয়াম সাধনের তাত্পর্য বর্ননা পূর্বক সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে সত্য সংবাদ চর্চা করার অনুরোধ করেন। জেল জুলুমের শিকার জননেতা সেলিম রেজা চৌধুরী (সেলিম) ও আনিসুজ্জামান (জামান)তাদের বক্তব্যে বি.এন.পির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের ঘোশিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের আলোকে সাংবাদিকদেরকে লেখা লেখির জন্য অনুরোধ করেন। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ তথ্য ও মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান কবিতা ইসলাম ও পরিচালক তদন্ত রুমেল সরকার, ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিমল সরকার, এ.আর হানিফ, হোসেন মিয়া, শরিফ আহমেদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রাজিব হোসেন রাজু,ক্রিড়া সম্পাদক আজাদ হোসেন ও সাংবাদিক আজম ইকবাল।

ডেমরা প্রেসক্লাব কর্তৃক আয়োজিত দুস্তদের সম্মানে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ

প্রতিনিধির ছবি

প্রতিনিধি: নিউজ ডেস্ক রিপোর্ট

এলাকা: ডেস্ক

বাংলাদেশ রেনাল অ্যাসোসিয়েশনের বক্তব্য কিডনি মানব দেহের অতি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। আমাদের শরীরে বিপাকের মাধ্যমে যে ময়লা ও দূষিত পদার্থ তৈরি হয় তা কিডনির মাধ্যমে প্রসাবের সাহায্যে বের হয়ে যায়। কিডনিকে সুস্থ সবল রাখা এবং কিডনি রোগীদের জন্য সাহায্য ও সমর্থনের আশীর্বাদ নিয়ে ২০০৬

সাল থেকে ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি অফ নেফ্রলজি এবং ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন ফর কিডনি ফাউন্ডেশন এর যৌথ উদ্যোগে সারা পৃথিবীব্যাপী মার্চ মাসের দ্বিতীয় বৃহস্পতিবার কিডনি দিবস পালিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় কিডনির রোগ দ্রুত শনাক্তকরণ ও কিডনি রোগ প্রতিরোধের বার্তা নিয়ে আগামীকাল ১৩ ই মার্চ বৃহস্পতিবার সারা বাংলাদেশ ব্যাপি বিশ্ব কিডনি দিবস পালিত হবে। এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে, আপনার কিডনি কি সুস্থ? দ্রুত পরীক্ষা করুন, কিডনির স্বাস্থ্য সুরক্ষা
করুন।

বাংলাদেশে বর্তমানে কিডনি রোগীর সংখ্যাঃ
২০১৯ সালে প্রকাশিত আটটি স্টাডির সিস্টেমিক রিভিউ অনুযায়ী আমাদের দেশে কিডনি রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ২২.৪৮%। এর ভেতরে মহিলাদের প্রাধান্য বেশি প্রায় ২৫ শতাংশ এবং পুরুষ
২০%। ১৭ কোটি মানুষের এই দেশে এই তথ্য অনুযায়ী কিডনি রোগীর সংখ্যা প্রায় তিন কোটি ৮২ লক্ষ এবং দ্রুত হারে এ সংখ্যা বাড়ছে। বিভিন্ন গবেষণা অনুযায়ী গত ১ দশকে কিডনি রোগীর সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। এই মহামারিতে প্রতি বছর ৩০ থেকে ৪০ হাজার রোগীর কিডনি বিকল হচ্ছে।
বর্তমানে বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার যে ক্ষমতা, সে অনুযায়ী আমরা এই নতুন রোগীদের ১৫ থেকে ২০% রোগীকে ট্রান্সপ্লান্ট ডায়ালাইসিস এবং অন্যান্য চিকিৎসা দিতে পারছি। তার মানে প্রায় ৮০ শতাংশ রোগী প্রয়োজনীয় চিকিৎসার অভাবে অথবা বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করছে। শুধু যে বাংলাদেশে এই কিডনি রোগের সংখ্যা বাড়ছে তা নয়। সারা পৃথিবীব্যাপী বর্তমানে ৮৫ কোটির বেশি মানুষ ভুগছে। দুই যুগ আগে মানুষ মৃত্যুর কারণ হিসেবে কিডনি রোগ ছিল ২৭তম স্থানে। বর্তমানে
এটির স্থান অষ্টম এবং ২০৪০ সালে কিডনি রোগ মৃত্যুর কারণ হিসেবে পঞ্চম স্থান দখল করবে। কিডনি রোগের চিকিৎসা ব্যবস্থাঃ কিডনি এর কার্যক্ষমতার উপর ভিত্তি করে কিডনি রোগকে পাঁচ ভাগে ভাগ করা হয়:
CKD Stage 1, 2, 3, 4, 5 এর মধ্যে stage 1-3 কিডনি রোগের চিকিৎসা পদ্ধতি হচ্ছে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ও ওষুধ।
Stage 4-5 এর চিকিৎসা পদ্ধতি।

বিশ্ব কিডনি দিবস ২০২৫ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন